প্রকাশিত: Thu, Dec 8, 2022 6:48 PM
আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 6:20 AM

কনফ্লিক্টটা বিএনপি ভার্সেস আওয়ামী লীগ, নাকি ‘ভোটের শাসন’ ভার্সেস ‘বাকশালী শাসন’

ইমরুল হাসান: এরশাদ পয়লা স্বৈরাচার না;  বাংলাদেশে অবৈধ, অগণতান্ত্রিক শাসনের শুরু হইতেছে বাকশাল। এই সত্য আমরা যতদিন না মানতে পারবো, বলতে না পারবো, ততোদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে একটা ডেমোক্রেটিক শাসনের বেইজ তৈরি করা পসিবল না। এই সত্যিটা আমরা এস্টাবলিশ করতে পারি নাই বইলাই নয়া বাকশালের অবৈধ-শাসন শুরু হইতে পারছে বাংলাদেশে এবং নতুন নতুন ফরম্যাটে চালু হওয়ার সম্ভাবনা জারি আছে। এখনকার পলিটিক্যাল ক্যাটাগরি বিএনপি ভার্সেস আওয়ামী লীগ না, এমনকি  ডেমোক্রেসি ভার্সেস (ধোঁয়াশা রকমের) ফ্যাসিবাদ না, বরং খুবই স্পেসিফিক্যালি ‘ভোটের শাসন’-‘ভার্সেস বাকশালী’ শাসনের মধ্যে কোনটারে সার্পোট করেন আপনিÑ এই কোশ্চেনটা। আনফরচুনেটলি, এই ন্যারেটিভটারে পলিটিক্যালি রিকগনাইজ করতে পারি নাই আমরা এখনো, পুরাপুরি। যখন এই বিরোধের জায়গাটা স্পষ্ট হইতে পারবে, বাংলাদেশে যেকোনো ধরণের স্বৈরাচারি শাসনের রাস্তা বন্ধ হইতে পারবে।

 এই কারণে, বিপ্লবের নামে যেই বাকশালী শাসনের ন্যারেটিভটা এখনো চালু আছে তারে কবর দিতে পারাটা জরুরি, সবচে আগে। এইরকম কথা তো আছেই যে, পুলিশ দিয়া গদি রক্ষা হবে না, ক্ষমতা টিকায়া রাখা যাবে না। তো, ব্যাপারটা এইরকম না যে, পুলিশে যেই ছাত্রলীগের লোকজন ঢুকানো হইছে ওরা হেল্প করবে না, গুলি করবে না মানুষের বুক তাক কইরা, বরং যদি দেশের মানুষ ঘুইরা দাঁড়ায় গুটি কয়েক পুলিশ দিয়া ক্ষমতায় থাকা যাবে না। সেকেন্ড আরেকটা জিনিস হইতেছে, মানুষ হিরো হইতে চায়, কেউ ভিলেন হইতে রাজি না। বাকশালি-মিডিয়া একটা সময়ে এই খুনি-পুলিশদেরকে খালি সেইভই করে নাই, হিরোও বানাইছে। কিন্তু যখন মানুষ এই গল্প আর খাইতেছে না, তখন হেসেটেড করারই কথা। থার্ড এবং ক্রুশিয়াল ঘটনা হইতেছে, জানের ডর সবারই আছে। পুলিশও ডরায়। সবচে বেশি ডরায় যখন পাবলিক উল্টা দৌড়ানি দেয়। পুলিশ দিয়া গদি রক্ষা হবে না- এই কথা তখনই সত্যি হইয়া উঠবে যখন মানুষ খুনি পুলিশরে দৌড়ানিটা দেওয়া শুরু করতে পারবে। ফেসবুক থেকে